প্রেম ভালোবাসা এমন এক অনুভব যা ছুঁয়ে যায় প্রতিটি নারী পুরষকে। কারো ক্ষেত্রে ১৬ তে কারোবা ৬১ তে। কিন্তু প্রেমে পড়েনি বা কাউকে ভালোবাসেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া বিরল। প্রেমের এক পর্যায়ে শরীরের একটি ভুমিকা আছে। কবিগনের মত লালন শাহ তার মরমী সঙ্গীতে আদিরসের সিঞ্চন করেছেন। লালন শাহের মতে নারী পুরুষের এই আকর্ষন এবং দেহ মিলন এক অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই তিনি বলেন,
মহারস মুদিত কমলে
প্রেম শৃঙ্গার নেওরে খুলে
শৃঙ্গারের মাধ্যমে উৎপন্ন প্রেম একেবারেই দেহগত প্রেম। প্রেমিক প্রেমিকাদের দেহজাত আকর্ষনে যে ভাবের উদয় হয় তা একেবারেই জাগতিক প্রেমে পর্যবসিত। কবি লালন শাহ তাই আবার অন্য গানে বলেন,
কি বল বো ভাই প্রেমের কথা
কাম হয়েছে প্রেমের লতা
কাম বিনা প্রেম যথাতথা
কই হয় আগমন।।
কাম ছাড়া প্রেম নেই। এখানে তিনি তাই বলেছেন। কিন্তু আরো এক গানে তিনি আবার বলেন,
কপাট মেরে কামের ঘরে
মানুষ ঝলক দিবে রুপ নিহারে,
তাহলে আমরা ভাবতে বাধ্য হই তাহলে কি লালন শাহ এই বিষয়ে বৈপিরত্যে ছিলেন? তবে বিদ্ধান ব্যাক্তিরা এই বিষয়ে বলেন, সেটা সত্য নয়; কামের ঘরে কপাট মারার কথা বলে লালন শাহ কামকে অস্বীকার করেননি, বরং কামরুপী পশুশক্তিকে নিয়ন্ত্রিত করে কামের মধ্যে থেকে বিজয় প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন।
এবার আসুন আজকের প্রেক্ষাপটে। এখন প্রেমে দেহগত সান্নিধ্য খুব সহজ স্বাভাবিক ব্যাপার মেনে নিলেও মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা ইচ্ছে হলেই কি সব করতে পারি?
প্রশ্ন ১~ আপনি কি সমর্থন করেন বিবাহ পূর্ববর্তী এই দৈহিক মিলন?
প্রশ্ন ২~ বিবাহপুর্ব দৈহিক মিলন আপনি কোন চোখে দেখেন? এটা কি মানুষের ব্যাক্তিগত সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলে?
প্রশ্ন ৩~ আপনার মতে এই প্রভাব কি পজেটিভ নাকি নেগেটিভ? আপনি কি ভাবছেন এই বিষয়ে?
এখানে পোষ্ট দাতা কোন পক্ষ নয়। পোষ্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে জেনে নেয়া বর্তমানে আমরা কোথায় অবস্হান করছি এবং কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম। এর বেশী কিছু নয়। ধন্যবাদ।
0 comments :
Post a Comment