ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের অনেক পদ্ধতি রয়েছে। অনেকেই দ্বিধায় পড়েন, কোনটি করবেন এবং কোনটি করবেন না এই নিয়ে। তাছাড়া বাংলাদেশের জন্য স্থানীয় কিছু সমস্যা তো রয়েছেই। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুবিধা-অসুবিধা অনুযায়ী ৫টি পদ্ধতি নিয়ে নিচে আলোচনা করছি।১. গুগল এডসেন্স(www.google.com/adsense)গুগল এডসেন্স ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সেরা উপায় । মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করা যায় প্রোগ্রামিং বা এইধরনের কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা না থেকেও। এমনকি গুগলের ব্লগার ব্যবহার করে কোনরকম খরচ ছাড়াই।আপনার প্রয়োজন শুধু সময় ব্যয় করা এবং চারিদিকে দৃষ্টি রেখে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার ব্যবস্থা করা। সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে প্রচুর ভিজিটর ভিজিট করবেন। এধরনের ওয়েবসাইট তৈরী এবং ভিজিটর পেতে কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ হাজার ভিজিটর না পেলে খুব বেশি আয়ের সম্ভাবনা কম। গুগল এডসেন্স এর মত চিতিকা (www.chitika.com) নামে আরেকটি ব্যবস্থা রয়েছে । ব্যবহারের পদ্ধতি এডসেন্স এর মতই।২. এফিলিয়েটেড মার্কেটিংএফিলিটেড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সীমা হচ্ছে আকাশ। আপনি যত চেষ্টা করবেন তত বেশি আয় করবেন। আপনার কাজ হচ্ছে ইন্টারনেটে যারা কিছু বিক্রি করে (পন্য বা সেবা) তাদের হয়ে প্রচার করা।এ কাজের জন্য নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সুবিধে বেশি, না থাকলেও সমস্যা নেই অন্যভাবে করা যায়। কোন কোন কোম্পানী টাকা দেয় তাদের সাইটে ভিজিটর পাঠালেই আবার কোন কোন কোম্পানী দেয় কোনভিজিটর কিছু কিনলে। ৭৫% পর্যন্ত কমিশন দেয়ার মত কোম্পানীও রয়েছে। আমাজন, ই-বে এফিলিয়েটেড মার্কেটিং কাজের জন্য অন্যতম। আমি আগেই বলেছি এফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে বেশি সুবিধে পাবেন। শুধুমাত্র এই কাজের জন্যই বিনামুল্যে ওয়েবসাইট তৈরী ও সেখানে বিভিন্ন পন্য যোগ করার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এই ব্যবস্থায় আয় বেশি তারপরও এডসেন্সর এর পর ২য় অবস্থানে থাকার কারন হল একাজে বুদ্ধিমত্তা, মার্কেটিং এর দক্ষতা এবং পরিশ্রম অনেক বেশি।৩. ফ্রিল্যান্সিংআপনি ওয়েবসাইট তৈরী কিংবা মার্কেটিং এর ঝামেলায় যদি যেতে না চান, অথচ কম্পিউটারের কোন কাজে দক্ষ। সেটা ফটোশপ ব্যবহার করে হোক অথবা গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং থেকে ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশন যে কোন কিছুই হতে পারে। তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং উপযুক্ত। কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলি প্রতিস্ঠান রয়েছে মধ্যস্থতা করার জন্য । সেখানে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করবেন (কোন খরচ নেই), তাদের কাজের তালিকা দেখে এপ্লাই করবেন, কাজ পাওয়ার পর কাজ করে জমা দিবেন। আপনার একাউন্টে সেই কাজের পারিশ্রমিক জমা হবে। ঘন্টাপ্রতি নির্দিষ্ট কাজ অনুযায়ী অথবা এককালীন চুক্তি অনুযায়ী ফ্রিলান্সিং কাজে পেমেন্ট দেয়া হয়। কাজের জটিলতা অনুযায়ী আয় কয়েক ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে এই চুক্তি। মধ্যস্থতাকারী থাকে বলে টাকা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।www.freelancer.com , www.odesk.com ইত্যাদি এধরনের কাজে অন্যতম প্রতিস্ঠান।৪. নিজে বিক্রি করালাভ বেশি থাকার পরও একে ৪ নম্বরে রাখতে হচ্ছে কারন নিজে বিক্রি করলে লাভ বেশি, সেইসাথে পরিশ্রমও বেশি। আপনি কিছু পন্য ঠিক করবেন এরপর ওয়েবসাইটে রেখে দেবেন। যিনি কিনতে চান তিনি সেখানে ক্লিক করে কিনবেন এবং আপনি সেটা তারকাছে পাঠিয়ে দেবেন। ফটোগ্রাফ, ই-বুক, সফটঅয়্যার এর মত পন্য সরাসরি ইমেইল করে পাঠাতে পারেন কিংবা ডাউনলোডের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। ছাপা বই বা বহনযোগ্য অন্য পন্য হলে পার্সেল করে পাঠাতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশের মানুষই কেনাকাটা করে অনলাইনে। কাজেই এই মুহুর্তে বাংলাদেশের মত দেশে বিষয়টি চালু না থাকলেও একসময় হবে ইনশাআল্লা ।৫. অনলাইন বিজ্ঞাপনজনপ্রিয় ওয়েবসাইটে এডসেন্স এর মত বিজ্ঞাপন রাখতে হবে এমন কোন কথা নেই, ছাপানো পত্রিকায় যেমন বিজ্ঞাপন দেয়া হয় সেভাবে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আমেরিকায় ছাপানো বিজ্ঞাপনের আয়কে ছাড়িয়ে গেছে অনলাইন বিজ্ঞাপন। পত্রিকার মত সাইটের জন্য এই ব্যবস্থা সুবিধেজনক। একাজে সমস্যা হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে করা যায় না, প্রতিস্ঠানহিসেবে কাজ করতে হয়। তবে সেটা সংবাদপত্র হতে হবে এমন কথা নেই। মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইট হতে পারে। যেমন বিভিন্ন পণ্যের পরিচিতি এবং দাম নিয়ে যেমন মানুষের আগ্রহ সেই বিষয় নিয়েই অনেকগুলি বিশ্বখ্যাত ওয়েবসাইট রয়েছে। চাকরী বা অন্য তথ্য নিয়ে সাইটও লক্ষ লক্ষভিজিটর পেতে পারে।
Home
/
Blog টিউটিরিয়াল
/
freelancer এবং আয়
/
Google Adsence
/
MulTifarioUs Topics
/
ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের সেরা ৫টি পদ্ধতি .MulTifarioUs Globe Topics
-
Blogger Comment
-
Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments :
Post a Comment